সল্টলেকের বিকাশভবনের সামনে চাকুরিহারা শিক্ষকদের উপর ও শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিস তথা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামিয়ে আনার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জির উৎখাতের ডাক দিল সিপিআই অনুমোদিত ১৩ টি গণসংগঠন। এমনকি মমতা ব্যানার্জিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার দাবিও জানালো তারা। সোমবার (১৯ মে) বিকেল চারটায় কলকাতার এন্টালির সিপিআই-এর রাজ্য অফিস ভূপেশ ভবন থেকে শিয়ালদহ কোর্টের কাছে বিগবাজার এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করে এই ১৩ টি গণসংগঠন ।
গণসংগঠনগুলি হল- এই আই টি ইউ সি, সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়ন, অধ্যাপক শাখা, পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি, এআইওয়াইএফ, এআইএসএফ, যুক্ত কমিটি, বিপিটিএ , বিটিইএ, বস্তি ফেডারেশন, আইপিসিএ ও প্রগতি লেখক সঙ্ঘ।
এদিন এন্টালি, মৌলালি মোড়ে, নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মোড়ে, শিয়ালদহ ফ্লাইওভার, শিয়ালদহ কোর্ট হয়ে শিয়ালদহ বিগবাজারে শেষ। এদিন এখানে একটি সংক্ষিপ্ত সভা করে ১৩ টি গণসংগঠন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায়ন বসার পর এ যাবৎ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এই তৃণমূল সরকারে মন্ত্রি-বিধায়ক-সাংসদ- সরকারি অফিসাররা সারদাসহ চিটফাণ্ড কাণ্ড, নারদা কাণ্ড, কয়লা কেলেঙ্কারী, পাচার, চাকুরির নিয়োগ দুর্নীতি সীমা ছাড়া। আন্দোলন চারিদিকে চলছে। এই আন্দোলন নাগরিক সমাজেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর জি কর কাণ্ড নাগরিক সমাজকে প্রভাবিত করেছে। তাই এই দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বেরাচার সরকারকে উৎখাত না করলে পশ্চিমবঙ্গ একটি কলঙ্কিত রাজ্যে পরিণত হবে।
এদিন বক্তব্য বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের নেত্রী লীনা চ্যাটার্জি, মহিলা আন্দোলনের নেত্রী ভ্রান্তি অধিকারী, ছাত্রনেতা বিক্রমবাহাদুর মণ্ডল, যুবনেতা ইন্দ্রজিত মল্লিক, শিক্ষক নেতা জহরলাল চ্যার্জি, খেতমজুর সংগঠনের নেতা বিদ্যুত গাঙ্গুলী, অধ্যাপক পরিষদের নেতা শুভোদয় দাশগুপ্ত , বস্তি ফেডারেশনের নেতা নীহার ঘোষ।
এই প্রথম ১৩ টি গণসংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর উৎখাত ও পদত্যাগ দাবি করে কলকাতার রাজপথ কাঁপালো।
খুলনা গেজেট/এএজে